আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরাকের কুর্দিস্তানে কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের (কেআরজি) পদত্যাগের দাবিতে চলমান বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কয়েক ডজন লোক। স্বাধীনতার দাবিতে বাগদাদের সাথে দর কষাকষিতে ব্যর্থতা, সরকারের দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কুর্দিস্তানে গত সোমবার বিক্ষোভ শুরু হয়। মঙ্গলবার এই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা কুর্দিস্তানের বিভিন্ন শহরে পাঁচটি প্রধান রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে হামলা চালায় এবং মেয়রের দপ্তরে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া আরো কিছু সরকারি ভবনেও ভাঙচুর করে তারা। কুর্দিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুলাইমানিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সারে স্কোয়ারে সমবেত হওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর জবাবে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ভবনে হামলা চালায়।
সুলাইমানিয়ার প্রাদেশিক শহর রানিয়া ও কিফরি এবং পার্শ্ববর্তী আরবিল প্রদেশের হালাজা ও কোইসিনজাকেও বিক্ষোভ হয়েছে। কোইসিনজাকে বিক্ষোভকারীরা মেয়রের অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। অন্যদিকে কিফরিতে কয়েক’শ বিক্ষোভকারী কুর্দিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানির কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির অফিসে পাথর ছুঁড়ে মারার পর সেখানে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। একজন বিক্ষোভকারী চিত্কার করে বলেন, ‘তোমরা অক্ষম এবং কুর্দিস্তান শাসন করতে ব্যর্থ।’
গত সেপ্টেম্বরে স্বাধীনতার দাবিতে অনুষ্ঠিত গণভোটের ফলাফল বাস্তবায়িত না হওয়ায় কুর্দিস্তানের সাধারণ জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। গণভোটে স্বাধীনতার পক্ষে বিপুল ভোট পড়লেও বাগদাদ এটি প্রত্যাখ্যান করে। প্রসঙ্গত, কুর্দিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারজানি ওই গণভোটের আয়োজক ছিলেন। গণভোটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় অক্টোবরের শেষদিকে পদত্যাগ করেন তিনি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি