২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:০৮

এখনো বেড়িবাঁধের বাইরে ৪০০০ পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আজ বুধবার, ১৫ নভেম্বর। সিডর তাণ্ডবের ১০ বছর। প্রকৃতির বুলডোজার সুপার সাইক্লোনখ্যাত ঘুর্ণিঝড়ের ভয়াল তাণ্ডবের কথা কুয়াকাটা-কলাপাড়ার মানুষ আজও ভুলতে পারেনি। ১০ বছর পরও কলাপাড়ায় চার সহস্রাধিক পরিবার বেড়িবাঁধের বাইরে ঝুপড়িতে চরম ঝুঁকিতে বসবাস করছে। এছাড়া যাদেরকে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল তাদেরও ৯০ ভাগ ঘর বসবাসের উপযোগিতা নেই। বাড়ছে গৃহহারা পরিবারের সংখ্যা।

২০০৭ সালে সিডরের ভয়াল তাণ্ডবে কলাপাড়ায় সরকারি হিসাবে ৯৪ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বেসরকারি হিসাবে ১০৪ জন। আজও নিখোঁজ রয়েছে সাত জেলে ও এক শিশু। আহত হয়েছে ১৬৭৮জন। এর মধ্যে ৯৬ জন প্রতিবন্ধী হয়ে গেছে। বিধবা হয়েছে ১২ গৃহবধূ। এতিম হয়েছে ২০ শিশু। সম্পূর্ণভাবে ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে ১২ হাজার ৯০০ পরিবার। আংশিক বিধ্বস্ত হয় ১৪ হাজার ৯২৫ পরিবার। ৩ হাজার ২২৫ জেলে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রকৃতির ওই কালো থাবায় শতকরা ৯০ ভাগ পরিবার ক্ষতির শিকার হয়। এর মধ্যে ৫ হাজার ৪৭৩টি পরিবারকে ঘর ণির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ৫৪০ পরিবারের মধ্যে দেয়ার জন্য ব্যারাক হাউস নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে পাঁচ বছর আগে।

কিন্তু এসব ব্যারাকের অন্তত ৩০০ কক্ষে লোকজন থাকছে না। ব্যারাক হাউসের চাল বেড়া পর্যন্ত চুরি হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত আরও চার সহস্রাধিক পরিবার আজ পর্যন্ত ঘর পায়নি। আদৌ আর কখনও পাবে কিনা তা খোদ সরকারের মহল থেকে নিশ্চিত করতে পারেনি।

বসতঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়া ১২ হাজার ৫১৬ পরিবারের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তিন হাজার, আড়াই হাজার, দুই হাজার এবং এক হাজার টাকা করে আরও ছয় হাজার সাত শ’ পরিবারকে গৃহ নির্মাণে সহায়তা দেয়া হয়েছে।

গৃহনির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সহায়তা দেয়া হয়েছে আরও অন্তত সাত হাজার পরিবারকে। খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে অধিকাংশ পরিবারকে। এখবর সরকারের বিভিন্ন সূত্রের। তারপরও সম্পূর্ণ এবং আংশিক বিধ্বস্ত চার সহস্রাধিক পরিবার আজও মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এরা বেড়িবাঁধের বাইরে ঝুপড়ি তুলে সন্তান পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ১৫, ২০১৭ ১২:০৫ অপরাহ্ণ