নিজস্ব প্রতিবেদক:
চালক ছাড়াই নিজে নিজে চলতে পারে এমন গাড়ি নিয়ে খবর হচ্ছে অহরহ। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় জাহাজের খবর খুব একটা কথা শোনা যায় না। তবে এবার সে প্রথা ভাঙলো বলে। নরওয়েজিয়ান জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ইয়ারা’ জাহাজের প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘কোন্সবার্গ’ এর সাথে চালকবিহীন জাহাজ তৈরিতে একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হল পৃথিবীর সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও স্বয়ংক্রিয় কনটেইনার জাহাজ বানানো। জাহাজটি ২০১৮ সালের শেষের দিকে সমুদ্রে নামার কথা রয়েছে।
হাই-টেক কনটেইনার জাহাজটির নাম ‘ইয়ারা বিরকিল্যান্ড’। জাহাজটি ইয়ারার প্রসগ্রান প্রোডাকশন প্ল্যান্ট থেকে আশেপাশের শহরে রাসায়নিক ও সার বহন করবে। জাহাজটি ২০১৮ সালে মানুষের সাহায্য নিয়েই চালানো হবে, এবং ২০১৯ সালে এটিকে রিমোটের মাধ্যমে ও ২০২০ সালে এটিকে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় জাহাজে রুপান্তরিত করা হবে।
কিন্তু সম্পূর্ণ রবোটিক জাহাজ সমুদ্রে নামানোর আগে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরীক্ষা পেরুতে হবে। নরওয়ে এ ব্যাপারে সুরাহার একেবারে দ্বারপ্রান্তে। নরওয়েজিয়ান মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ এবং নরওয়েজিয়ান উপকূলীয় প্রশাসন গত বছরে একটি চুক্তি করেছে। এর ফলে টরোণ্ডহেইম খাঁড়িকে স্বয়ংক্রিয় জাহাজের জন্য পৃথিবীর প্রথম পরীক্ষামুলক জলপথ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্প্রতি রোলস রয়েসও স্বয়ংক্রিয় জাহাজ নিয়ে একটি প্রস্তাবনা রেখেছে। যেখানে ডেকহীন রোবোটিক জাহাজ কন্ট্রোল সেন্টার বা উপকূল থেকে রিমোটের মাধ্যমে মনিটর করা যাবে। স্বয়ংক্রিয় বা রিমোট চালিত জাহাজের সুবিধা অসীম। এর ফলে মানুষের জন্য কেবিন বা ডেক বাদ দিয়ে জাহাজের কর্মক্ষমতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে। কমে যাবে মানুষের ভুলের কারণে ঘটা দূর্ঘটনার ঝুঁকিও।
M/H