আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসের বিপর্যয়ের মধ্যে সরকারপ্রধানের বিদেশে অবস্থান জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো। তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী সরকার থাকলেই কেবলমাত্র এটা সম্ভব হয়। আজকে দেশের মধ্যে এতো বড় বিপর্যয়কে বৃদ্ধাঙ্গগুলি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারতেন না।
বিএনপির কারাবন্দি ভাইস চেয়ারম্যান রবকতউল্লাহ বুলুর মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বরকতউল্লাহ বুলু মুক্তি পরিষদ। সংগঠনের সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন আরমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, হায় প্রধানমন্ত্রী! কী বিচিত্র এই দেশ। আপনি আনন্দ ভ্রমনে আজকে ইউরোপে অবস্থান করছেন। আর আপনার পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটির লোক পাহাড় বিধ্বস্ত হয়ে যারা বেঁচে আছেন, তারা হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। হাসপাতালে বিদ্যুৎ নাই, আলো নাই, আজকে তারা ধুকে ধুকে মরছে। আর আপনি সেখানে অবস্থান করছেন।
তিনি বলেন, এই সরকার দুর্বিনীত সরকার, গণবিরোধী সরকার, মানবতাবিরোধী সরকার। মানবতাবিরোধী সরকার থাকলেই কেবলমাত্র এটা সম্ভব হয়। আজকে দেশের মধ্যে এতো বড় বিপর্যয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারতেন না।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। যে নির্বাচন মধ্যরাতের মধ্যে ব্যালট বাক্স পূর্ণ হয়ে যায় সেই নির্বাচন হবে না। যে নির্বাচনে ব্যালট পেপার ধানক্ষেতে পাওয়া যায়, সেই নির্বাচন হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনেই হবে। তারা যদি মনে করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো তারা নির্বাচন করে সুখস্বপ্নে অবারিত ক্ষমতা তারা ভোগ করবে, আর সেই সুযোগ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বাংলার মাটিতে পাবে না।
এসময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান কারাবন্দি নেতা বরকতউল্লাহ বুলুর অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান রিজভী।