১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:৫২

বোমার শব্দে খিলখিলিয়ে হাসে এই শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছোট্ট সালওয়ার কাছে বাবার প্রশ্ন-এটা কি যুদ্ধবিমান নাকি বোমা?

সালওয়া- বোমা। এটা যখন পড়বে তখন আমরা হাসবো।

ধুম (বোমার শব্দ)!

এরপরই সালওয়ার খিলখিল হাসি।

এটা কোনো নাটক বা সিনেমার দৃশ্য নয়। ছোট্ট মেয়েকে বোমা হামলার আতঙ্ক থেকে বাঁচাতে এক সিরীয় বাবার অভিনব প্রয়াস এটি।

সিরিয়ার যুদ্ধপ্রবন ইদলিবের সারমাদাত এলাকায় থাকেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ও তার পরিবার। এখানে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে সিরিয়া সরকার। সময়-অসময়ে ছাদের ওপর দিয়ে উড়ে যায় বোমারু বিমান। আশেপাশের এলাকায় আকাশ থেকে ফেলা বোমা হামলার ভয়ঙ্কর শব্দও শুনতে হয় বাসিন্দাদের। আব্দুল্লাহ খেলাচ্ছলে তার ছোট্ট মেয়ের বোমা আতঙ্ক কাটানোর চেষ্টা করছেন।

আব্দুল্লাহ বলেন,  ‘ দুই বছর আগে ঈদের দিনে বাচ্চারা আতশবাজি পোড়াচ্ছিল। এদের মধ্যে একটি শিশু প্রচুর আতশবাজি পোড়াচ্ছিল। বিস্ফোরণের শব্দে সালওয়া ভয় পেয়ে যায়। আমি দ্রুত তাকে বারান্দায় নিয়ে যাই এবং ভয় না পেতে বলি। ওকে বোঝাই-বাচ্চারা আতশবাজি খেলছে-এটাই তো ঈদ। তাকে দেখানোর জন্য এক বাচ্চাকে একটি আতশবাজি পোড়াতে বললাম। ওটা দেখার পর সে হাসতে শুরু করলো এবং বুঝলো এটা স্রেফ খেলা।’

বোমা হামলার শব্দ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এর দুদিন পর একটি যুদ্ধবিমান হামলা চালালো। আমি ওকে ভয় পেতে নিষেধ করলাম। ওকে বোঝালাম, এটাতো বাচ্চারা আতশবাজি পোড়াচ্ছে। আমি এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার শুরু করলাম।’

সালাওয়া এখন বড় হয়েছে-যুদ্ধবিমান ও মিসাইলের পার্থক্য বোঝে। তবে বাবা-মেয়ের এই খেলা বন্ধ হয়নি।

আব্দুল্লাহ বলেন, ‘যখন সে আমাকে সামাল দিতে ও হাসতে দেখে তখন সেও নিজেকে সামাল দেয় ও হাসে। আমি যখন জানতে পারি বিমান হামলা হবে তখন দ্রুত তাকে ফোন করে চলতে আসতে বলি, যাতে আমরা ছবি তোলার মতো কিছু করতে পারি। আমি বিষয়টি খেলায় রূপ দেই যাতে সে ভয় না পায়।’

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০ ৫:৪০ অপরাহ্ণ