৩০শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | রাত ২:২২

ওই কষ্ট কোনোদিনও ভুলবেন না মুশফিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ৩ বছর ৭ মাস ১০ দিন। বেঙ্গালুরু টু দিল্লি। দীর্ঘ এ সময়ের ব্যবধানে মুশফিকুর রহিম কতোটা পরিণত হয়েছেন তা বোঝা গেল রোববার রাতে।

হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ কিভাবে হারতে হয় তিন বছর আগে তা করে দেখিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। দিল্লিতে গতকাল প্রায় কঠিনতম ম্যাচ জিতিয়েছেন অনায়াসে। দুই ম্যাচের পার্থক্য কোথায়? কেন সেদিন হেরেছিল বাংলাদেশ? আবার কেন গতকাল জিতল বাংলাদেশ? দলকে জেতানোর পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, ‘মানুষ ভুল করে এবং সেই ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়াটা হচ্ছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’

সেই ভুল থেকে মুশফিক শিক্ষা নিয়েছেন। নিজেকে পরিণত করেছেন।  গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কিভাবে মনোবল শক্ত রেখে দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে হয় মুশফিক তা আয়ত্ব করেছেন ভালোভাবেই। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে বলেছেন, সুযোগ পেলে ভারতের বিপক্ষে প্রায় একই ম্যাচ জিতিয়ে দেখাবেন।  দিল্লিতে বেঙ্গালুরুর দায় শোধ করেছেন মুশফিক।  কিন্তু মনের জ্বালা মেটেনি তার।  কেন? উত্তর শুনুন তার মুখ থেকেই, ‘বিশ্বকাপের ম্যাচের সঙ্গে আসলে অন্য কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজের তুলনা চলে না। সেই আক্ষেপ কখনো যাবে না, আমি আগেও বলেছি জীবনে যদি কোনো একটা ম্যাচে ফিরে যেতে চাই, তাহলে সেটা হবে বেঙ্গালুরুর সেই ম্যাচ।’

সেদিন মাত্র ৩ বলে ২ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি মুশফিক। অথচ আজ ১০ বলে ২০ রানের সমীকরণে টানা চার বাউন্ডারিতে ব্যবধান ৪ এ নামিয়ে আনেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ সেদিন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন। আজ ছক্কা হাঁকিয়ে মেরেছেন উইনিং শট।  বিশ্বকাপের ম্যাচ হারায় এখনও সেই কষ্ট মনের কোণায় পুষছেন মুশফিক।  দিল্লি মতো এক ডজন জয় পাবেন ঠিকই। কিন্তু বিশ্বকাপের ওই ম্যাচ কখনোই ফিরিয়ে আনতে পারবেন না তিনি।

শেষ মুহূর্তে স্নায়ু ধরে রাখার পেছনের রহস্য কী তা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান, ‘ওই ম্যাচের পর আমি কিছু ম্যাচে দলকে জিতিয়েছিও। সেগুলো আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে এই ম্যাচে। সেই পরিস্থিতিতে কী করেছি আর কী করা উচিত ছিল সেই অভিজ্ঞতাটাও হয়েছে। ২০তম ওভার শুরু হওয়ার আগে আমি আর রিয়াদ ভাই কথা বলেছিলাম। আমরা পরিষ্কার ছিলাম যে কী করতে হবে। এবার আমরা ম্যাচ শেষ করতে পেরেছি। এটা ছিল আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার।’

‘পাশাপাশি আমি নিজের সঙ্গে কথা বলছিলাম। ক্রিজে থাকা ব্যাটসম্যানই কেবল জানে ঠিক কী হচ্ছে। ডাগআউটের কেউ কিংবা পরের ব্যাটসম্যানও বুঝতে পারবে না। আমি নিজের সঙ্গেই কথা বলছিলাম। সৌম্যর সঙ্গেও কথা বলেছি। ১৯তম ওভার পর্যন্ত থেকেও যদি হারি তো হারলাম।’ – যোগ করেন মুশফিক।

প্রকাশ :নভেম্বর ৪, ২০১৯ ১:৪৯ অপরাহ্ণ