দেশজনতা অনলাইন : ২০১৮ সালে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে জীবন উৎসর্গ করা ১২ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে সম্মাননা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শনিবার জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত শুক্রবার এই সম্মাননা জানানো হয়। এদিন শান্তিরক্ষা মিশনে ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের জীবন উৎসর্গ করা ১১৯ জন সামরিক, পুলিশ ও বেসামরিক বীর শান্তিরক্ষীকে ‘মরণোত্তর ডাগ হ্যামারশেল্ড মেডেল’ প্রদান করা হয়, যাদের মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশি ছিলেন।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে নিউইয়র্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি ২৭ দেশের প্রতিনিধিদের কাছে সম্মাননা পদক তুলে দেন।
বাংলাদেশের পক্ষে পদক গ্রহণ করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে জীবন দিয়ে মরণোত্তর পদকপ্রাপ্ত ১২ জন বাংলাদেশি হলেন- সৈনিক অর্জন হাওলাদার, সৈনিক মো. রিপুল মিয়া, সৈনিক মোহাম্মাদ জামাল উদ্দিন, ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ, সৈনিক মোহাম্মাদ রায়হান আলী, ল্যান্স করপোরাল মোহাম্মাদ আক্তার হোসেন, সৈনিক মোহাম্মাদ রাশেদুজ্জামান, সৈনিক মো. জানে আলম, সৈনিক মো. মতিয়ার রহমান, সৈনিক মো. মঞ্জুর আলী, ল্যান্স করপোরাল মো. মিজানুর রহমান ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আশরাফ সিদ্দিকী।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে কর্মরত মিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ, মিশন সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন বাংলাদেশের ১২ জন শান্তিরক্ষীর পরিবারের সদস্যদের কাছে পদক পাঠাতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মী পাঠানোয় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর ৬ হাজার ৬০০ জন সদস্য বর্তমানে নয়টি মিশনে অ্যাবেই, সিএআর, ডিআর কঙ্গো, হাইতি, লেবানন, মালি, সুদান, দক্ষিণ সুদান ও পশ্চিম সাহারায় শান্তিরক্ষাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

