১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:৩৬

বুড়িগঙ্গায় তিন ভাসমান লাশ

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি:
বুড়িগঙ্গা নদী থেকে একই দিনে তিন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশগুলো একটি শিশু (১০), একজন নারী (২০) ও একজন পুরুষের (৬৫)।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম জানান, স্থানীয় লোকজন ঢাকার ফরিদাবাদ আর্সিনগেইট বরাবর মাঝ নদীতে এক যুবতীর লাশ ভাসতে দেখে। তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় যুবতীর লাশ ভাসতে দেখি। পরে লাশটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাই।

নিহত যুবতীর বয়স আনুমানিক ২০ বছর। পরনে ছিল গোলাপি রঙের সালোয়ার এবং খয়েরি রঙের ছাপার কামিজ। যুবতীটির জিভ কামড়ে ধরা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ৪-৫ দিন আগে যুবতীটিকে সন্ত্রাসীরা শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়। লাশের গায়ে পচন ধরে চামড়া উঠে যাওয়ায় গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কি-না বোঝা যাচ্ছে না।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল তালুকদার বলেন, সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পন্টুনের সামনে থেকে মোসলেম উদ্দিন (৬৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মোসলেম উদ্দিন রবিবার নৌকা ডুবে নিখোঁজ ছিলেন। আজ সোমবার সকালে তার লাশ পটুয়াখালী পন্টুনের সামনে ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়, পরে নিহতের ছেলে ওসমান ঘটনাস্থলে এসে বাবার লাশ শনাক্ত করেন। পরে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ বুঝে নিয়ে যান তিনি।

নিহতের বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া এলাকায়। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ছেলে ওসমান বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

একইদিন, আজ সোমবার (১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় পোস্তগোলা ব্রিজের নিচে সেনা ক্যাম্পের পন্টুনের সামনে মিনারা (১০) নামের এক শিশুর লাশ ভেসে উঠলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ তা উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফিরোজ আলম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই আমরা। সেখান থেকে অজ্ঞাতনামা শিশুটির লাশ উদ্ধার করি। পরে নিহত শিশুর স্বজনরা খবর পেয়ে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করলে নাম-ঠিকানা জানা যায়।

শিশুটির পিতার নাম মো. লাল মিয়া ওরফে লালু। তারা ঢাকার সাভার থানাধীন আমিন বাজার এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে বসবাস করেন।

নিহত মিনারা রবিবার তার এক সহপাঠীর সঙ্গে নদীতে গোসল করতে এসে নিখোঁজ হয়। নদীতে স্রোত থাকার কারণে লাশ ভেসে এদিকে চলে আসে।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রকাশ :অক্টোবর ১, ২০১৮ ৪:০০ অপরাহ্ণ