২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:০৯

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন

চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি রফরফে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট ইঞ্জিন রুম থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এতে আগুন নেভাতে ও আতংকিত যাত্রীরা ছুটাছুটি করতে গিয়ে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

অগ্নিকাণ্ডে যাত্রীবাহী লঞ্চের ইঞ্জিন, জেনারেটর, পাওয়ার সেকশন, হাওয়ার মেশিন, ডায়াস মেশিনসহ ৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় লঞ্চটি চাঁদপুর টার্মিনাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় লঞ্চে ছিলেন প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চাঁদপুর উত্তর, দক্ষিণ ও নৌ-পায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট পৌনে ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

রফ রফ লঞ্চের মাষ্টার মো. মামুনুর রশিদ জানান, ইঞ্জিনটি চালু করার পরপরই বিকট শব্দ হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে মারাত্মক দুর্ঘটনা এড়াতে তাত্ক্ষণিক যাত্রীদের টার্মিনালে নামিয়ে দেয়া হয়। এরপর লঞ্চে থাকা ও আশপাশের লঞ্চের স্টাফ, নৌ-টার্মিনালে থাকা ব্যবসায়ীরা এসে আগুন নির্বাপনের চেষ্টা চালায়। ২০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের ৩ ইউনিট এসে আগুন নির্বাপন করেন।

মেসার্স রাকিব ওয়াটার ওয়েজের কোম্পানীর ম্যানেজার মো.ফরিদ আহম্মেদ জানান, অগ্নিকান্ডে আমাদের লঞ্চের ইঞ্জিন, কেবিন ও আসবাবপত্র সহ প্রায় ৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

খবর পেয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লে. এনায়েত উল্লাহ, বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

চাঁদপুর ফায়ার স্টেশনের উপ-পরিচালক রতন কুমার জানান, আমাদের ৩টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তদন্ত শেষে জানানো হবে।

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮ ১:২৯ অপরাহ্ণ