২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:০১

চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধে আবারও ভাঙন, তলিয়ে যাচ্ছে ব্লক বাঁধ

চাঁদপুর প্রতিনিধি:

চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই এলাকায় আকস্মিক ভাঙন দেখা দেয়, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এতে একশ’ মিটারের বেশি ব্লক বাঁধ নদীতে তলিয়ে গেছে। ভাঙনে ওই এলাকায় মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ভাঙনের খবর পেয়ে শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লা পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী বাবুল চন্দ্র শীলসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

গত কয়েকদিন আগে হরিসভার দক্ষিণে ব্যবসায়ী সহদেব সাহার বাড়ির পেছন দিয়ে প্রায় একশ’ মিটার ব্লক বাঁধ বিলীন হয়ে যায়। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওব্যাগ ও ব্লক ফেলে সাময়িকভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়। এক মাসের কিছু বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর হরিসভা মন্দির গেটের বিপরীতে ঘাটলা এলাকায় আবারও ভাঙন দেখা দিল। হরিসভা লোকনাথ মন্দিরের পাশের দোকানি মানিক সাহা, ভাঙনকবলিত এলাকার অর্চনা সাহা, মালতি দেসহ অনেকে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ব্লক দিয়ে মন্দিরের যে ঘাটলাটি করে দিয়েছিল এখন সেটির কোনো অস্তিত্ব নেই।

স্থানীয় মাধব ঘোষ জানান, হরিসভা এলাকাটি এই নিয়ে সাতবার মেঘনার ভাঙনের শিকার হয়েছে। সম্প্রতি তিনবার ভাঙন হলে তিনবারই পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করিয়েছে। কিন্তু সেখান দিয়েই আবার ভাঙছে।

শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের অধ্যক্ষ বিশাল গোবিন্দ দাসাধিকারী জানান, হরিসভা কমপ্লেক্সে সাতটি মন্দির রয়েছে। আশপাশে বিরাট বসতি এলাকা। রাস্তা-ঘাট, মসজিদ- মাদরাসা ও গণকবর রয়েছে। নদীভাঙনের ভয়াবহতা নিয়ে আমরা এখন খুবই শঙ্কিত। পানি উন্নয়ন বোর্ড সঠিকভাবে কাজ না করায় এখানে বার বার শহররক্ষা বাঁধের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, বর্ষা মৌসুমে পুরানবাজারের নদীর পরিস্থিতি ভালো না। প্রবল ঘূর্ণিস্রোত প্রবাহিত হয়। এ জায়গাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। হরিসভা পয়েন্টে নদীর গভীরতা অনেক। সেখানে স্কাউরিং (গর্ত হয়ে যাওয়া) বেশি হওয়ায় ব্লক বাঁধে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা জরুরিভিত্তিতে ৬০ মিটার জায়গায় জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলে ভাঙন থেকে রক্ষার চেষ্টা করছি। এ ছাড়াও আমাদের লোকজন আছে তারা দেখছে, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি।

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৮ ১১:০৩ অপরাহ্ণ