১৯শে মে, ২০২৪ ইং | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:২১

ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা

অর্থনীতি ডেস্ক:
গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে (২৬ থেকে ৩০ আগস্ট) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচক এবং লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ফলে বেড়েছে বাজার মূলধনের পরিমান।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৯২ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ১০৩ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ৩২ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭২ শতাংশ।

আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ১১ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ১০ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া মোট ৩৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৮১টির শেয়ারের দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৩৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির শেয়ারের দাম।

এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৮৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫০২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮১ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ১০ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৯১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা ১৯০ দশমিক ২৬ শতাংশ। অবশ্য আগের সপ্তাহে মাত্র দুই কার্যদিবস লেনদেন হয়।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯৩ দশমিক ৩২ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ১২২ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাকটিভ ফাইনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। ৭৮ কোটি ২৩ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- বিবিএস কেবলস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি, খুলনা পাওয়ার, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স এবং রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস।

প্রকাশ :আগস্ট ৩১, ২০১৮ ১০:৩৮ অপরাহ্ণ