১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:২০

সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না গরুর মাংস

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রমজান উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশন থেকে গরু ও মহিষের মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছেন না রাজধানীর অধিকাংশ মাংস ব্যবসায়ীরা। নির্ধারিত দাম উপেক্ষা করে আগের মতই ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছেন তারা।

শুক্রবার (২৫ মে) রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ হাজীপাড়া, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা ও যাত্রাবাড়ী এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বেগুনবাগিচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ী খোকন প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি করছেন ৪৫০ টাকায়। এছাড়া গরুর কলিজা বিক্রি করছেন ৫০০ টাকা কেজি। তবে তার পাশেই আরেক ব্যবসায়ী গরুর মাংস বিক্রি করেছেন ৪৮০ টাকায়। অথচ দোকানে গরুর মাংসের দাম ৪৫০ টাকা লেখা রয়েছে।

নাম জানতে চাইলে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান। দামের তালিকা না মানার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মাংসে ভেজাল দেই না, চর্বিও দেই না। তাই ৪৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। মাংসে চর্জি ভেজাল দিয়ে ৪৫০ টাকায় বিক্রি করলেও এর চেয়ে বেশি লাভ হবে।

ব্যবসায়ী খোকন বলেন, সিটি কর্পোরেশন গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমরা সেই নির্ধারিত ৪৫০ টাকা দামেই বিক্রি করছি। তবে কলিজা ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। কারণ, এর দাম কেউ নির্ধারণ করে দেয়নি।

রামপুরা জামতলার কমিশনার রোডে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ী জসিম। এমন দামের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন মাংস ব্যবসা করি না। শুধু শুক্রবার বিক্রি করি। আমাদের মাংস সলিট (ভালো)। পানি মিশাই না এবং আবার বাদ দেয়া অংশও ভেজাল করে দেই না। তাই আমাদের কাছে দাম একটু বেশি।

৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায় হাজীপাড়া বৌ-বাজারেও। বাজারটির ব্যবসায়ী খায়ের বলেন, আমি গরু বলে মহিষের মাংস বিক্রি করি না। আমার এখানে মাংস এক নম্বর। আবার ওজনের সময় ভেজালও দেই না। সামনে যা দেখাব তাই দেব। কোনো দুই নম্বরি নেই।

মাংস কিনতে বাজারে এসে শহিদুল ইসলাম নামের একজন বলেন, গত সপ্তাহে ধলপুর বাজারে গরুর মাংসের কেজি ছিল ৪৮০-৫০০ টাকা। আজও (২৫ মে) আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কোনো ব্যবসায়ী গরুর মাংসের কেজি ৪৫০ টাকা রাখছে না।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :মে ২৫, ২০১৮ ৩:৪০ অপরাহ্ণ