আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০ বছরের কম বয়সী মেয়েদের স্কুলে মাথায় স্কার্ফ পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তাব করেছে অস্ট্রিয়ার নতুন জোট সরকার।
অস্ট্রিয়ার শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, নতুন প্রস্তাবিত এই ‘শিশু সুরক্ষা আইন’ সামনের গ্রীষ্মেই কার্যকর করা হবে এবং ইসলামিক প্রভাব থেকে অস্ট্রিয়ার সংস্কৃতি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে একটি ‘ঐতিহাসিক আইন’ হবে।
অস্ট্রিয়ার প্রধান মুসলিম দল বলছে, এ পরিকল্পনা একেবারেই ‘গঠনমূলক নয়’।
তারা বলছে, কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক স্কুলের খুব অল্পসংখ্যক মেয়েই হিজাব পরে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ঠিক কতজন শিশু প্রভাবিত হবে তা এখনো ধারণা করা যাচ্ছে না। ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হলে মুসলিম মেয়েশিশুদের মাথায় স্কার্ফ পরতে হয়।
অস্ট্রিয়ার একটি রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্টজ বলেন, ‘অস্ট্রিয়ার ভেতরে একাধিক ধরনের সমাজব্যবস্থা যেন গড়ে না ওঠে সেটি নিশ্চিত করতে চাই আমরা।’
গত বছর ইউরোপের শরণার্থী সঙ্কট চলাকালীন প্রায় ৮৭ লাখ মানুষ অস্ট্রিয়ায় আশ্রয় চায়, যাদের প্রায় ২% মানুষকে সেখানে আশ্রয় দেয়া হয়। গতবছরের নির্বাচনে জয় পাওয়া সেবাস্টিয়ান কুর্টজের রক্ষণশীল দল এই নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল।
ভাইস চ্যান্সেলর হেইঞ্জ ক্রিশ্চিয়ান স্ট্রাখে এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ইসলামিক রাজনীতি থেকে শিশুদের রক্ষার উদ্দেশে এমন প্রস্তাব এনেছে সরকার।
একটি সংবাদ সম্মেলনে কুর্টজ ও স্ট্রাখে বলেন, এ নিয়ে স্কুলগুলোয় একটি সমস্যা তৈরী হচ্ছে। যদিও তাদের বক্তব্যের সমর্থনে তারা কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেননি।
প্রস্তাবিত আইনের বিস্তারিত এখনো ঠিক হয়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে ১০ বছর পর্যন্ত বয়স্ক মেয়েরা এ আইনের আওতাধীন থাকবে।
অস্ট্রিয়ায় এর আগের জোট সরকার প্রকাশ্যে নিকাবসহ মুখ ঢেকে রাখার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তবে নারীদের হিজাব পড়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না।
গত বছর অস্ট্রিয়ার ভেতরে ইসলামভীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভ্যান ডার বেলেন দেশের সব নারীকে মাথায় স্কার্ফ পড়ে একাত্মতা প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। বিবিসি
দৈনিক দেশজনতা /এন আর
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

