নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে আইনের শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ করে হত্যার বহুল আলোচিত মামলায় চার আসামির মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার সকালে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯)। আর বাসটির সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে হত্যার পর টাঙ্গাইলের মধুপুরের পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে লাশ ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই লাশ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে বোন রূপার লাশ সনাক্ত করেন। রুপার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

