১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:৩২

রংপুর সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

উৎসবমুখর পরিবেশে রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

এদিকে চার স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যেই শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকেই ভোট কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এ সময় ভোট নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা চোখে পড়ে।

রংপুরে এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন  ৭ প্রার্থী। এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন এবং সংরক্ষিত ১১ ওয়ার্ডে ৬৫ নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

২০৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের রংপুর সিটিতে ভোটার ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। ৩৩ ওয়ার্ডে ১৯৩ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভোট। নির্বাচনে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় র‍্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৫ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকছে।

এর আগে বুধবার বিকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ভোটের সরঞ্জাম। স্থানীয় নির্বাচন হলেও প্রচারে কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশগ্রহণে বইছে জাতীয় নির্বাচনের আবহ। প্রায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ভোটার আজ পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন করবেন তাদের নগরপিতা।

১৯৩ কেন্দ্রের মধ্যে ১০৮ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাড়ে পাঁচ হাজার নিরাপত্তাকর্মী নেমেছে মাঠে। ২০৩ বর্গকিলোমিটারের এ সিটিতে নারী ও পুরুষ ভোটার প্রায় সমান সমান।

একটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেয়া হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা থাকবে তিনটি কেন্দ্রে। মেয়রপ্রার্থীদের বুধবার নিজ নিজ বাসায় দলের নেতাদের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের কৌশল নির্ধারণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।

মেয়র পদে প্রার্থী সাতজন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বড় তিন দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন ইসির জন্য অগ্নিপরীক্ষা।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিগত সময় এই সিটিতে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ভোটাররা মনে করছেন দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে তিনি এই অঞ্চলের ভোটারদের মন যোগাতে পারেননি। নগর উন্নয়নে ভোটারদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি ছিল কম। তারপরও আওয়ামী লীগের মতো দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্র পরিচালনাকারী ও ক্ষমতাসীন দলের যথেষ্ট ভোট রয়েছে। নেতাকর্মী ও ভোটাররা দলীয় প্রতীকে ঠিকই ভোট দেবেন।

অন্যদিকে বিএনপি মনে করছে তাদের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের প্রার্থী বিজয়ী হবে। বিএনপি দাবি করে বলছে, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনকালে নানা অনিয়ম দুর্নীতির কারণে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হলেও সমঝোতার ভিত্তিতে সরকারের সঙ্গে দেশ পরিচালনায় অংশ নেয়ায় এই দলটির প্রতিও ক্ষুব্ধ জনগণ।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

 

প্রকাশ :ডিসেম্বর ২১, ২০১৭ ১০:০১ পূর্বাহ্ণ