নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে দেশটি থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে সেটি এখনও প্রশ্ন হয়ে রইলো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীও নিশ্চিত নন কবে শুরু করা যাবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঠিক কবে থেকে রোহিঙ্গারা ফেরত যাবে সেটা বলা যাবে না। সেটা তো বড় কথা নয়। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন হয়েছে। খুব শিগগির রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাবে।’ এর আগে গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে দুই দেশের মধ্যে হয় সমঝোতা। কিন্তু কবে থেকে রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে শুরু করবে- এটা এখনও এক বড় প্রশ্ন হয়ে রয়েছে।
১৯৮২ সাল থেকে বিরতি দিয়ে নানা সময় রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান শুরুর পর প্রতিবারই প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে ছুটে এসেছে রোহিঙ্গারা। এমনিতেই জনাধিক্যের বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা তৈরি করেছে বাড়তি চাপ। তাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে ৮০ দশক থেকেই মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু দেশটি এখন পর্যন্ত সমঝোতা বা চুক্তির বাস্তবায়ন করেনি। আর রোহিঙ্গারাও ফিরে যায়নি দেশে।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর নভেম্বরের শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দুই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে আশাবাদের কথা বলেছিলেন। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে এক মাস। কিন্তু এখনও কোন প্রক্রিয়ায় এবং কীভাবে রোহিঙ্গারা ফিরবে, এ বিষয়ে আলোচনাই শুরু হয়নি।
মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন হয়েছে, সেই গ্রুপই নিজেদের মধ্যে বসে এই বিষয়গুলো চূড়ান্ত করবে। নির্দিষ্ট সময় বলতে না পারলেও ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছার আশা করছে ঢাকা। তার মানে নভেম্বরে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের সময় দুই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরুর যে আশার কথা জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা, সেটির বাস্তবায়ন হচ্ছে না-এটা নিশ্চিত। তাহলে কবে থেকে ফিরবে রোহিঙ্গারা-এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে দুই দেশে আমরা একসাথে কাজ করছি। তাদের সাথে আামাদের যে চুক্তি হয়েছে তাতে আমি আশাবাদী।’
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

