২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সকাল ১০:৫২

খালাকে কনে সাজিয়ে কিশোরীকে বিয়ের চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সদ্য জেএসসি পরীক্ষা দেওয়া এক ছাত্রীর বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল পরিবার। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কনের বাড়ি ছুটে যান। মেয়ের পরিবার তার খালাকে কনে সাজিয়ে হাজির করে ইউএনওর সামনে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে তাদের এই চাতুরী ধরে ফেলে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর একটি গ্রামে গত রোববার। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই ছাত্রীর খালাসহ তিনজনকে সাজা দেন ইউএনও।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র বলেছে, ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছে বলে রোববার রাতে খবর পান ইউএনও ফারহানা করিম। মেয়ের বাড়ি গেলে লোকজন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক এক সদস্যের সহযোগিতায় ওই কিশোরীর খালাকে (২০) ইউএনওর সামনে কনে সাজিয়ে হাজির করেন। সাবেক ওই ইউপি সদস্য নিজেকে কনের বাবা দাবি করেন। ইউএনওর জেরার মুখে সত্য প্রকাশ হয়ে যায়। কনের খালা, সাবেক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তৃতীয়জন নিজেকে কনের নানি পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে ইউএনও জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারেন, ওই নারী আসলে কিশোরীর মা।
ইউএনও ফারহানা করিম গতকাল সোমবার বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনি সাবেক ওই ইউপি সদস্যকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। কিশোরীর মা ও খালাকে পাঁচ শ টাকা করে জরিমানাও করেছেন তিনি।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭ ১২:৩৩ অপরাহ্ণ