নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুরের শ্রীপুরে সাইটালিয়া গ্রামে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী (১২) গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়ই সুস্থ রয়েছে।
কিশোরী স্বজনরা জানান, বিভিন্ন ঘটনার আলোকে মাকে ছাড়া কিশোরী তাঁর বাবাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী টেংরা গ্রামের ফুফুর বাড়িতে গত এক মাস ধরে অবস্থান করছিলেন। গতকাল বুধবার বিকালে কিশোরীর প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। পরে রাতে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই স্বাভাবিক ভাবে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
শ্রীপুর উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মঈনুল হক খান জানান, সরকারিভাবে কিশোরীর প্রসব পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সব চিকিৎসার দায়িত্ব থাকায় রাতে আবাসিক চিকিৎসক হাবীবা সুলতানার অধীনে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে কন্যা সন্তান প্রসব করেন কিশোরীটি। বর্তমানে উভয়ই সুস্থ রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২২ সেপ্টেম্বর ধর্ষণে কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় শ্রীপুর থানায় উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে আমান উল্লাহকে (২৬) আসামী করে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়। এঘটনায় এখন পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত আমান উল্ল্যাহ্কে আটক করতে না পারলেও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কিশোরীর আত্মীয় উপজেলার সাইটালিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে হুমায়ুন কবিরকে গত ১৯ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
এদিকে কিশোরীর মা হওয়ার খবরে ইতিমধ্যে গাজীপুর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির সরকারিভাবে কিশোরী ও তাঁর সন্তানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আকতার শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে কিশোরী ও তাঁর নবজাতকের খোঁজ খবর নেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ