স্বাস্থ্য ডেস্ক:
গত শতকের আশির দশকের মাঝামাঝি আবির্ভাবের পর থেকেই বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোনের ব্যবহার নাটকীয়ভাবেই বৃদ্ধি পেয়ে আসছে। বিশ্বে বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫০০ কোটি। মোবাইল ফোনের ব্যবহার মানবদেহে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, এমন একটি ধারণা গত দশক কিংবা তারও আগে থেকেই আলোচিত হয়ে আসছিল। বিশেষ করে মোবাইল ফোন ব্যবহারকালে বিচ্ছুরিত দ্রুত তরঙ্গায়িত বৈদ্যুতিক চুম্বক মানুষের মস্তিষ্কে ক্যান্সারের জন্ম দিতে পারে বলে আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। কিন্তু তাতে মোবাইল ফোন ব্যবহারের তীব্রতার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলেনি।
তবে নতুন এক গবেষণায় বলছে ভিন্ন কথা। মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে মস্তিষ্ক ক্যান্সারের কোনো সম্পর্ক নেই। অস্ট্রেলিয়ায় গত ২৯ বছরে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বাড়লেও মস্তিষ্ক ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সে তুলনায় বাড়েনি। অস্ট্রেলিয়ায় গত ৩০ বছর ধরে পরিচালিত স্বাস্থ্য-সমীক্ষায় এ সব তথ্য উঠে এসেছে।
এ জরিপে বলা হয়েছে, ১৯৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার ৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেও এখন ব্যবহার করে দেশটির ৯০ শতাংশ মানুষ। আর এ সময়ের মধ্যে ২০ থেকে ৮৪ বয়সী পুরুষদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রকোপ সামান্য বাড়লেও নারীদের ক্ষেত্রে তা স্থিতিশীল রয়েছে। অবশ্য বয়সিদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রকোপ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কিন্তু এর সূচনা হয়েছে ১৯৮৭ সালে অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ায় মোবাইল ফোন আসারও পাঁচ বছর আগে থেকে।
এ সমীক্ষা চালিয়েছেন, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিমন চ্যাপমেন। তিনি বলেছেন, মোবাইল ফোনের বিকিরণ ডিএনএ’র জন্য ক্ষতিকারক বলে যে প্রচলিত ধারণা রয়েছে কিন্তু এ সমীক্ষায় দেখা গেছে মোবাইল ফোনের সঙ্গে ক্যান্সারের কোনো সম্পর্ক নেই।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

