২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:২৭

রংপুরে বন্যার পলি কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরে নগর ছেড়ে একটু গ্রামাঞ্চলের দিকে পা বাড়ালেই চোখে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হেমন্তের অধাপাকা সবুজ-সোনালী ধান। মোটা অংকের টাকা খরচ করে দেড়-দু মাস আগের বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমনের আবাদে যে কৃষকের চোখে মুখে ছিল হতাশার ছাপ তা এখন পরিণত হয়েছে আলোর ঝলকানিতে।বন্যার পলি যেন আশীর্বাদ হয়েছে কৃষকদের জন্য। অগ্রহায়ণে ঘরে উঠবে কৃষকের সোনা ধান। কৃষক নুর ইসলাম ও শাহিন জানান, ‘বন্যার পর ধান চাষ করে আগের চেয়ে অনেক ভালো ফলন পাওয়া গেছে। আল্লাহ আমাদের রহমত করেছে।’ কিছু এলাকায় কারেন্ট পোকা দেখা দিলেও তা মোকাবেলায় প্রস্তুত মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা।

তবে ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, ‘আমাদের যে কীটনাশক দেয়া হয়েছে তার গায়ে লেখা সব ধরনের পোকা নিধন হবে। কিন্তু এই কীটনাশকে কোনো কাজ দিচ্ছে না।’

রংপুর আলমবিদিতর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ‘আমরা আশা করছি, এ সমস্যার সমাধান আমরা করতে পারব। কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি, তারা পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করলে সমস্যার সমাধান দ্রুত করা যাবে।’

রংপুর কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আশরাফ আলী জানান, বন্যাকবলিত রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলায় এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ লক্ষ সাড়ে ছাব্বিশ হাজার হেক্টর জমিতে নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে আরও সাতষট্টি হাজার বেশি জমিতে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ২৪, ২০১৭ ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ