২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:১১

ঢামেকের জরুরি বিভাগ বন্ধ ছিল না দাবি পরিচালকের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন। ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে রোববার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকদের মারামারি হয়। এরপর বেলা ২টা থেকে প্রায় ৫টা পর্যন্ত জরুরি সেবা বন্ধ ছিল।

বিষয়টি অস্বীকার করে ঢামেক পরিচালক বলেন, ‘জরুরি সেবা বন্ধ ছিল না। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা বৈঠকে বসার কারণে কিছু সময় হয়তো সেবা বিঘ্নিত হয়েছে। সেবা এখন থেকে চলবে।’

তিনি বলেন, ‘একজন চিকিৎসক তার কর্মস্থলে গিয়ে যদি নিরাপত্তা না পায়, সেটা খুবই দুঃখজনক। এটাকে তুচ্ছ ঘটনা বললেও হবে না। প্রত্যেক মানুষেরই একটি সেন্টিমেন্ট আছে।’

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এখানে যে রোগী মারা গেছেন, তাকে বাঁচানোর জন্য আমাদের ডিপার্টমেন্ট চেষ্টার কোনো রকম ত্রুটি রাখেনি। ভেতরে ঢুকতে না দেওয়ার কারণে ডাক্তার এবং নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর রোগীর স্বজনরা যেভাবে হামলা করেছে তা মেনে নেওয়া যায় না।’

তিনি বলেন, এজন্য চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি জানাচ্ছি এবং আটককৃতদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দাবি করছি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত নওশাদ (৫৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তিনি ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের সিসিইউ’র ১৭নং বেড়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসকদের ওপর চড়াও হলে মারামারি শুরু হয়। এতে চিকিৎসক সায়েম, শামীম ও শাওন এবং আনসার প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) বাদল হাওলাদার, শাহ আলম, আনোয়ার ও ইমতিয়াজ আহত হন।

পরে রোগীর দুই স্বজন রিয়াজ ও মাকছুদকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ২৯, ২০১৭ ৬:৩০ অপরাহ্ণ