বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশালের মুলাদী উপজেলার চর সফিপুর গ্রামের সমিতির হাট এলাকায় মুঠোফোন চুরির অভিযোগে মো. শাওন নামে ১৩ বছরের এক দরিদ্র শিশুকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত ২১ অক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও এতদিন থানায় অভিযোগ দায়েরের পর এটা প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে অভিযুক্তদের মধ্যে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নির্যাতনের ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে পুলিশ।
গত ২১ অক্টোবর চর সফিপুর গ্রামের সমিতির হাট এলাকায় শিশুটির হাত বেঁধে নির্যাতনের দৃশ্য সেখানে উপস্থিত কেউ একজন মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারণ করেন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সের ২৫/৩০ জন মানুষের উপস্থিতিতে এক ব্যক্তি শিশুটিকে কাঠ দিয়ে পেটাচ্ছে এবং শিশুটি চিৎকার করছে। এই ভিডিওটি বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন বরিশালের উপ-পরিচালকের (বাসক) হাতে পৌঁছলে তিনি বরিশালের পুলিশ সুপার বরাবরে এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, শাওন চর সফিপুরের নানা বাড়িতে এসেছিলো। মুঠোফোন চুরির অভিযোগে তাকে স্থানীয় কিছু লোক নির্মম নির্যাতন করে। তার বাবা নেই। মা ঢাকায় গৃহ পরিচারিকার কাজ করে।
এ অবস্থায় বিষয়টি আমলে নিয়ে শাওনকে খুঁজে বের করা এবং নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন বাসক’র উপ-পরিচালক। পুলিশ সুপার অভিযোগ পেয়ে মুলাদী থানার ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলে বুধবার রাতে সবুজ ও মহসিন নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন বরিশালের উপ-পরিচালক সোহেল সরদার বাদী হয়ে মুলাদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। শিশু নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারসহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম। এর আগে, নাটোর, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা ও হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি অভিযোগে শিশুকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

