আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গণতান্ত্রিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ৩৭ জন বুরুন্ডিয়ান শরণার্থী নিহত হয়েছেন। শরণার্থীদের কিছু অংশ দেশে ফেরত পাঠানো হবে কঙ্গো সরকারের এমন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার সময় তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে ১১৭ জন আহত হয়েছেন। কঙ্গোয় জাতিসংঘ মিশনের (মনুসকো) বরাত দিয়ে রোববার বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
কঙ্গো সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বুরুন্ডির যেসব শরণার্থীকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য একটি জেলখানায় রাখা হয়েছিল সেখানে তারা বিশৃঙ্খলা করতে থাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়লে চড়াও হয় নিরাপত্তাবাহিনী। মনসুকোর প্রধান ফ্লোরেন্স মার্কেল এ ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আর সত্যিকার অর্থে সেখানে কী ঘটেছে তা তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। ফ্লোরেন্স বলেন, বুরুন্ডির বিক্ষোভকারীরা কঙ্গো সরকারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয়। তাই তারা বিক্ষোভ করছিল। এ সময় সংঘর্ষে কঙ্গোর এক সেনা সদস্য নিহত হওয়ার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশটির প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালায়।
কঙ্গোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এর আগে বলা হয়, সেনারা ফাঁকা গুলি করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা সেনাদের লক্ষ্য করে ব্যাপকহারে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট পিয়েরে এনকুরুননিজা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিলে দেশটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা কঙ্গোয় পালিয়ে যায়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

