নিজস্ব প্রতিবেদক:
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। পূজাকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যেই প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। তবে অনেকেই প্রতিমার শরীরে মাটির শেষ আঁচড় দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে সাজানোর কাজ করছেন। তাই এখন দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। জেলায় এবার ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজার ৮১টি মণ্ডপে পূর্জা অনুষ্ঠিত হবে। সরেজমিনে টাঙ্গাইল কয়েকটি পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ এলাকায় প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেছে। শেষ মুহূর্তের কাজ করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। বাকি দেবীদুর্গাকে রং তুলির আঁচড় দিতে। অনেকেই আবার রং দিচ্ছেন। অনেকেই আবার প্রতিমা দেখতে ভীড় করছেন।
এ বিষয়ে কথা হয় টাঙ্গাইল বড় কালিবাড়ীর পূজামণ্ডপের কারিগর ছানা চন্দ্র পালের সাথে। তিনি বলেন, পূর্ব পুরুষ থেকেই আমরা প্রতিমা তৈরির কাজ করে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বড় কালিবাড়ী ছাড়াও আরো ৩টি মণ্ডপের প্রতিমা তৈরি করেছি। পূজা আসলেই আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। এখন ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করছি। অনেকই প্রতিমার তৈরির কাজ শেষ, আবারে কেউ প্রতিমার শরীরে রঙ দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, আশা করছি এবারের প্রতিমা তৈরিতে আমি লাভবান হবো। সংসারের যাবতীয় খরচ এর ওপর নির্ভর করে।
টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সূত্রে জানা যায়, ঘাটাইলে ৬২টি, সখীপুরে ৩৭টি, বাসাইলে ৫৪টি, দেলদুয়ারে ১০২টি, টাঙ্গাইল সদরে ১৮৩টি, ধনবাড়ীতে ৩১টি, মির্জাপুরে ২২২টি, মধুপুরে ৪৬টি, কালিহাতীতে ১৫৭টি, গোপালপুরে ৩৫টি, নাগরপুরে ১২২টি এবং ভূঞাপুরে ৩০টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ,জেলায় উল্লেখযোগ্য মণ্ডপগুলো হলে, বড়কালিবাড়ী, আদালত পাড়া, করটিয়া, বাজিতপুর, পাথরাইল, করাতিপাড়া, চন্ডি ইত্যাদি। এবার দেবীদূর্গা নৌকায় আগমন করবেন, ঘোটকে করে গমন করবেন।এ বিষয়ে কথা হয় টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহার সাথে। তিনি বলেন, জেলায় এবার ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজার ৮১টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে মণ্ডপের সংখ্যা সামনে বাড়তে পারে। প্রতি বছর সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পেয়ে থাকি। আশা করছি এবারের পাব।
তিনি আরো বলেন, করটিয়ার একটি মন্ডপকে আমরা ঝুকিপূর্ণ বলে মনে করছি। তবে আশা করছি অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও পূজা সুষ্ঠু এবং সুন্দর হবে। এ বিষয়ে কথা হয় টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুকুল চন্দ্র সাহার সাথে। তিনি বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ এবং আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেবন। এছাড়া স্থানীয় লোজজন ভলানডিয়ার হিসেবে কাজ করবে। তবে আমরা সার্বক্ষণিক প্রতিটি মণ্ডবের খোঁজ খবর নেব বলে তিনি জানান।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ