নিজস্ব প্রতিবেদক:
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা মোক্তোকারের চরের সেয়ার আলী মাদবরের কান্দী গ্রামে পাকা স্থাপনা ভেঙে ছোট হচ্ছে শরীয়তপুরের মানচিত্র। পদ্মার পানি কমতে শুরু করার সাথে সাথে আবার নতুন করে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।
এতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে শরীয়তপুরের পদ্মাপাড়ের মানুষের মধ্যে।
এ বছর আগাম ভাঙনের ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। আর নদী ভাঙেনের শিকার হয়ে শরীয়তপুরে গৃহহীন হয়েছে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি পরিবার। হুমকির মুখে রয়েছে জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার মূলফোৎগঞ্জ হাসপাতালসহ ২০ হাজার পরিবার।
সরকারিভাবে ভাঙন কবলিতদের যে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় একেবারে অপ্রতুল বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তারা সরকারের কাছে স্থায়ী বাসস্থান ও বেড়িবাঁধ নির্মাণেরও দাবি জানিয়েছেন। আর নদীর এমন অচেনা আচরণে গত বছরের চেয়ে বেশি ভাঙনের আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়রা।
এদিকে, শরীয়তপুরে পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। পদ্মাপাড়ের নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়ির ঘর থেকে পানি নেমে গেছে। কমতে শুরু করেছে উঠানের পানিও। তবে পদ্মা নদীর পানি সুরেশ্বর পয়েন্টে এখনো বিপদসিমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই পদ্মার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পদ্মাপাড়ের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসত বাড়ি, স্থাপনা ও ফসলী জমি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

