নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসের ঘটনায় ৬৮ দিন পর ভারী যানবাহন চলাচলের রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক খুলে দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকালে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে সাপছড়ির শালবনে নবনির্মিত বেইলি ব্রিজ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ দীর্ঘ দুই মাস চেষ্টা চালিয়ে ২কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন বেইলি ব্রীজ নির্মাণ করে।
গত ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ পাহাড়ধসের ঘটনায় সাপছড়ির শালবন এলাকায় রাঙ্গামাটি- চট্টগ্রাম সড়কের ১ শ’ মিটার জায়গা ধসে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রাঙ্গামাটির সঙ্গে দেশের অন্যান্য স্থানের সড়ক যোগযোগ।
ঘটনার ৯ দিনের মাথায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিকল্প সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে হালকা যানবাহনের জন্য খুলে দেয়। কিন্তু বিকল্প সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল করতে না দেয়ায় রাঙ্গামাটির ব্যবসা বাণিজ্যসহ নানা ক্ষেত্রে সংকট দেখা দেয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সাপছড়ি এলাকায় ধ্বসে যাওয়া পাহাড়ের অংশে নতুন করে বেইলী ব্রীজ নির্মানের কাজ শুরু করে।
দীর্ঘ ২মাস পর বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ পূনঃস্থাপন করে। বেইলী ব্রীজটি আজ পরীক্ষামূলকভাবে যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হয়। দুপুর থেকে ভারী যানবাহন শুরু হওয়ায় রাঙ্গামাটির বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যসহ পর্যটন শিল্পে পুনরায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। ভারী যানবাহন যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় মানুষের মনে ছিল উচ্ছাস আর আনন্দ। অতিদ্রুত সড়ক যোগাযোগ পুনরায় স্থাপিত হওয়ায় তারা সড়ক বিভাগের কর্মীদের অভিনন্দন জানান।
পাহাড়ধসে রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে দীর্ঘদিন রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় রাঙ্গামাটির মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। পাহাড়ধসে রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে দীর্ঘদিন রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় রাঙ্গামাটির মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে কাঠ ও ফার্নিচার ব্যবসা, মৎস্য পরিবহন ও পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাঙ্গামাটিতে অর্থনৈতিক দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর