নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের সিংড়া ও নলডাঙ্গা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিংড়ায় আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সিংড়া পৌর শহরসহ ৬টি ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য সাতটি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে বানভাসি মানুষরা শোলাকুড়া দাখিল মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার বন্যা দুর্গতদের জানমাল রক্ষার্থে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বন্যা দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করছেন। সিংড়া উপজেলার ইউএনও জানান, বর্তমানে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার্তদের জন্য সিংড়া দমদমা সরকারি গার্লস, পাঙ্গাশিয়া, কতুয়াবাড়ী, নিংগইন ও জোড়মল্লিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বিলচলন ও মহেশচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শোলাকুড়া আলিম মাদ্রাসায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় আরো ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর বন্যার্ত মানুষের জন্য আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির নির্দেশে ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অপরদিকে, জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার বারনই নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিন ইউনিয়নের অন্তত আড়াই হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার, বাশিলা পূর্ব পাড়া, দক্ষিন পাড়া, বিলজোয়ানী, পাটুল, ভুষনগাছা সহ অন্যান্য এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া পানি ঢুকতে শুরু করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। নলডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসান বলেন, সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত নদী তীরবর্তী এলাকায় আড়াই হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জরুরী তালিকা তৈরী করে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবার জানানো হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

