স্বাস্থ্য ডেস্ক:
শরীরে থেকে ফ্যাট কমানোর জন্য আমরা কতো কিছুই না করে থাকি। জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর কসরত রোজই করে চলেছি। ট্রেডমিলে দৌড়, সাইক্লিং, ওয়েট ট্রেনিং, সোনা বাথ। যত বেশি ঘাম ঝরছে ততই যেন মানসিক শান্তি। যাক! মেদ ঝরছে তা হলে! আমরা ভেবেই নিই ঘাম ঝরছে মানেই মেদ ঝরছে। অথচ ফিটনেস এক্সপার্টরা জানাচ্ছেন, ঘাম ঝরা মানে মোটেও মেদ ঝরা নয়। কী হয় তা হলে? ঘাম ঝরা মানে কী বা কি হয় ঘাম ঝরলে
ফ্যাট লস কাকে বলে?
আমাদের শরীরে তিন ধরনের ফ্যাট থাকে। সাবকুটেনাস, যা ত্বকের নীচে থাকে, ভিসারাল, যা শরীরের ক্যাভিটিতে থাকে ও ইন্ট্রামাসকুলার, যা কম পরিমাণে আমাদের পেশীতে থাকে। মনে রাখতে হবে এই তিন ধরনের ফ্যাটের প্রতি যদি আমরা নজর না দিই তা হলে তা শরীরে চেপে বসতে পারে। রোগা হওয়ার জন্য ক্রাশ ডায়েট মেনে চললে বা অপর্যাপ্ত খাবার খেলে শরীরে এই তিন ধরনের ফ্যাট অতিরিক্ত পরিমাণ সঞ্চিত হতে থাকে। কারণ, আমাদের শরীরের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় এনার্জি ফ্যাট থেকেই আসে।
কেনো ঘাম ঝরা মানেই মেদ ঝরা নয়
অতিরিক্ত ওয়ার্কআউট করলে বা সোনা বাথ নিলে ঘাম ঝরলেও তার মানে মেদ ঝরা নয়। শরীর ফ্যাটে সঞ্চিত এনার্জির সাহায্য ক্যালোরি বার্ন করে। কিন্তু তার পরেই যখন আমরা খাবার খাই, সেই ঘাটতি মিটে যায়। প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কার্ডিও ট্রেনিং করলে শরীর মেদ ঝরাতে পারে।
তাই যোগ ব্যায়াম বা পাইলেট(ফ্রি হ্যান্ড) এক্সারসাইজে ঘাম ঝরে না বলে তা মেদ ঝরাতে কার্যকরী নয় এই ধারণা ভুল। এই ধরনের এক্সারসাইজ শরীরের ফিটনেস বাড়াতে সাহায্য করে। তাই জিমে গিয়ে বেশিক্ষণ ওয়ার্কআউট করলে বা দৌড়লেই বেশি ফ্যাট ঝরাতে পারবেন এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

