আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
থাই রাজতন্ত্রের মানহানি করার অভিযোগে থাইল্যান্ডের এক নাগরিককে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির সামরিক আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ছয়টি ভিডিও ক্লিপে থাই রাজতন্ত্র নিয়ে মানহানিকর কথা বলেছেন তিনি। তার আইনজীবি বলছেন, জান্তা নিয়ন্ত্রিত থাই সরকার রাজতন্ত্র ও সামরিক বাহিনীর সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য এমন কাজ করছে। রাজতন্ত্রের জন্য মানহানিকর এমন অনলাইন ম্যাটেরিয়ালস্ শেয়ার করার অভিযোগে সেই থাই নাগরিককে ২০১৫ সালে গ্রেফতার করা হয়। তারা (নামের প্রথম অংশ। পুরো নাম প্রকাশে আইনজীবির নিষেধ রয়েছে।) নামের ৬১ বছর বয়সী সেই থাই ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজতন্ত্রের মানহানিকর কাজ ও কম্পিউটার অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। খবর রয়টার্সের। থাইল্যান্ডের দণ্ডবিধি ১১২ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের অভিযোগে ব্যাংককের সামরিক আদালত তারাকে ১৮ বছর কারাদণ্ড দেয়। সেই ব্যক্তি এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন না। কারণ তাকে থাইল্যান্ডে সামরিক শাসন জারির সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা থেকে বলা হচ্ছে, বিরোধী মতকে থামিয়ে দিতে ও ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য এমন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। সামরিক সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানায় জাতীয় প্রতিরক্ষার স্বার্থে এমন করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রভিত রোজানাফ্রুক নামে এক পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিককে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে ফেসবুকে সামরিক জান্তা নিয়ে সমালোচনামূলক কথা বলেছে। মঙ্গলবার পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। থাইল্যান্ডে চলমান বন্যায় সামরিক শাসকগোষ্ঠির ঢিমতালে জবাবের সমালোচনা করে ফেসবুকে লিখেছিলেন প্রভিত।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

