কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
কক্সবাজার টেকনাফ সীমান্তের ইয়াবা আরদদাররা নতুন কৌশলে হাড়িহাড়ি ইয়াবা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিণত হয়ে কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছেন তারা। ইয়াবা গডফাদারদের সাথে আতাত করে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মীরাও দেশ ধ্বংসকারী মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুছনী ক্যাম্পে নিয়োজিত আরটি এম ইন্টারন্যাশনাল এম্বুল্যান্সবর্তীটি টেকনাফ থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে উখিয়া থানার সামনে পৌছলে উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ কায় কিসলুর নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা ছÑ ৭১-২৪৯২ নাম্বারের এম্বুল্যান্সটি গতিরোধ করে তল্লাসি চালিয়ে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা সহ ২ পাচারকারীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার মুছুনি নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসনের ছেলে বাদশাহ মিয়া (৩৫) ও চট্রগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানার মধ্যম মাদারসা গ্রামের হাজী কালু মিয়ার ছেলে মাহমুদুল হক রানা (৩২)। এদিকে শনিবার সন্ধায় উখিয়া ষ্টেশনের মিষ্টি ঘর থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার র্যাব ৭ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১৪ হাজার ইয়াবা সহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে। তারা হলেন, মিয়ানমারের মংডু জেলার চালিয়াপালং গ্রামের মৃত আমান উল্লার ছেলে মামুনুর রশিদ ও কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের গুরা মিয়া ছেলে মোঃ নুরুল বশর। অপর দিকে রোববার সকাল ৮ টায় মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টের বিজিবি সদস্যরা কক্সবাজার গামী যাত্রী বাহি পিকাপ তল্লাসি চালিয়ে ৪৩০ পিস ইয়াবা সহ ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের মৃত হাজী হোছাইনের ছেলে মোঃ সরওয়ার কামাল (৩২) কে আটক করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া (সার্কেল) চাইলাউ মার্মা জানান, মাদক প্রতিরোধে পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর