মো: গোলাম আযম সরকার, রংপুর:
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে কমিটি বিলুপ্ত আর বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হাতাহাতি-ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এতে সভাপন্ড হওয়ার উপক্রম হলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃঢ়তায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দেন সভার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রংপুর নগরীর টাউন হলে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শুরু হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক টিপু মুন্সি এমপিসহ অন্য নেতৃবৃন্দ। সভায় রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির মেয়াদ ছয় বছর হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে কমিটি বিলুপ্ত করে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি করেন নেতারা। সভায় একপর্যায়ে বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি- ধাক্কাধাক্কি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সভাস্থলে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। অনেক চেষ্টার পর কেন্দ্রীয় নেতারা আবারো সভা শুরু করেন। সভায় প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর কবীর নানক দলকে শক্তিশালী করার জন্য দলের মধ্যে বিভাজন না করার আহবান জানিয়ে বলেন, যারা আজ গোলযোগ করেছে তাদের কালো তালিকা করা হবে। সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক টিপু মুন্সি দুঃখ প্রকাশ করেন
দৈনিক দেশজনতা /এন আর