এম. শরীফ হোসাইন, ভোলা
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জেলে পল্লীগুলোতে ইলিশের ভর মৌসুমেও মেঘনা, তেঁতুলিয়া, বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে ইলিশে দেখা না মেলায় জেলেদের মধ্যে হতাশার ছাপ দেখা দিয়েছে বলে জেলেরা জানিয়েছেন।
ইলিশের ঘাট নামে পরিচিত ঢালচর, চরকুকরী, পাতিলা, সাম্রাজ, আট কপাট, এককপাট, চর মাইনুদ্দিন, বকসীর সরকারী তথ্যমতে ২২ হাজার জেলে ভর মৌসূমে ইলিশ শিকার করার আশায় বিভিন্ন এনজিও, আড়ৎদার, মহাজন থেকে দাদন নিয়ে বিপাকে পড়েছে। ভরা মৌসূমে ইলিশ না পড়ায় তাদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে নেয়া ঋণ কিভাবে পরিশোধ করবেন তার চিন্তায় দিশেহারা তারা।
বকসী ঘাটের আড়ৎদার মোফাজ্জল হাওলাদার জানান, এ সময় জেলেরা ট্রলারে মাইক লাগিয়ে গানে মাতোয়ারা হয়ে নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করে আড়দে বিক্রি করত। কিন্তু এখন পর্যন্ত জেলেদের জালে ইলিশ ধরা না পড়ার কারণে তারা হতাশায় ভুগছে।
পাঁচ তহবিলের জেলেরা জানান, ইলিশের আশায় অমাবশ্যা শেষে নদীতে গিয়ে আমাদের মালিকসহ ট্রলারটি ঘুর্ণিঝড়েরর কবলে পড়ে এখন পযন্ত ৪ জন নিখোঁজ রয়েছে।
আইচা ফিসের পার্টনার জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার জানান, নতুন করে ৪টি মাছ ধরা ট্রলার নির্মাণ করে নদীতে মাছ ধরতে গেলেও বেশির ভাগ ট্রলার খালি হাতে ফিরে আসে। তিনি আরও জানান, একএকটি ট্রলার মাছ ধরার জন্য নদীতে পাঠাতে, জ্বালানী তৈল, খাবার, ঔষধ, বরফসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকার মত লাগে। ৫/৭ দিন পর জেলেরা খালি হাতে ফিরে আসলে আমরা মহাজনরাও বিপাকে পড়তে হয়।
ঢালচরের সালাম হাওলাদার জানান, জেলেরা নদীতে গিয়ে মাছ বিহীন আশার কারণে আমরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছি এবং জেলেদের দেনার পরিমান দিন দিন ভারী হচ্ছে।
চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ হালদার জানান, বিগত বছর নদীতে জেলেরা ছোট বড় নিষিদ্ধ ঘোষিত মাছ নিধন করার কারণে এখন পর্যন্ত ইলিশের দেখা মিলছেনা।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর