২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:৩৯

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ:ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি

মো: গোলাম আযম সরকার. রংপুর
আবাসিক হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাধারণ সম্পাদকসহ ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে ক্যাম্পাসের শহীদ মুখতার এলাহী হলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে ব্যপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, বুধবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়া নিয়ন্ত্রিত শহীদ মুখতার ইলাহী হলের একটি সিটে সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখ গ্রুপের নেতা সাবেক কমিটির সহ-সম্পাদক পার্থ প্রামাণিক একজন ছাত্রকে তুলে দিতে যায়। এসময় সভাপতি গ্রুপের নেতা সাবেক কমিটির প্রকাশণা বিষয়ক সম্পাদক শশী বাঁধা দেয় এবং প্রার্থ প্রামাণিককে মারধোর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সমঝোতা করতে সেখানে সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখের নেতৃত্বে সাবেক কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাসান আলী ও সাইদুল ইসলাম ওই হলে যান। এসময় সভাপতি গ্রুপের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা তাদের ব্যপক মারধোর করে। এতে সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখের হাত ফেটে যায়। এ খবর জানাজানি হলে সাধারণ সম্পাদক সমর্থক বিপুল সংখ্যক নতাকর্মীরা রাত পৌনে ১ টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ শহীদ মুখতার ইলাহী হল ঘিরে ফেলে কিছু নেতাকর্মী হলে প্রবেশ করে। এরই মধ্যে সভাপতি গ্রুপের অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হলের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। এসময় সাধারণ সম্পাদক সমর্থকরা বাইরে থেকে ব্যপক ভাংচুর চালায় বিভিন্ন কক্ষে। এসময় বিভিন্ন কক্ষের দরজা, জানালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। এসময় ওই হলের নীচতলার ১০টি কক্ষের জানালা দরজাসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে রাত দুইটার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ। সহকারী প্রক্টর সদরুল ইসলাম সরকারকে আহবায়ক এবং সহকারী প্রক্টর সামসুজ্জামান ও আতিউর রহমানকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির আহবায়ক সদরুল ইসলাম সরকার জানান, কমিটি হয়েছে তবে কবে নাগাদ রিপোর্ট দিতে হবে তা বলা হয় নি। তবে আমরা সকাল থেকে কাজ করেছি। ভিসির সাথে কথা বলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবো।বঙ্গবন্ধু শেখ মুঝিবুর রহমান রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট আপেল মাহমুদ জানান, ‘সিট দখলকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনাটি ঘটে। যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের সনাক্ত করার আপ্রাণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। পুলিশ প্রশাসন ও প্রভোস্ট বোর্ডের সাহায্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছি। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।

রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি তুষার কিবরিয়া জানান, হলের সিট নিয়ে মুলত উচ্চ বাচ্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে সাধারণ সম্পাদক সহ ৩ জন আহত হন।

এদিকে এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দিনভর ক্যাম্পাসে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এরশাদুল ইসলাম জানান, ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আর কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

দৈনিক দেশজনতা/ এন আর

প্রকাশ :জুলাই ২০, ২০১৭ ৯:২৬ অপরাহ্ণ