নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামে ৩দিন বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীকে আটকে রেখে বিদ্যুৎ নিয়েছে। গত শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ডাংগীরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজনে সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে ঝড়বৃষ্টি হলে উপজেলার হাড়িয়ারকুটি ইউনিয়নের মেনানগর, সালামোনাপাড়া, কুঠিয়াল, ডাংগীরহাট, পাচানী, পাঁচটারী, জুম্মাপাড়া, মাষ্টারপাড়াসহ ১৪টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গ্রামগুলো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ওই গ্রামগুলোর শতাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে পাগলাপীর বিদ্যুৎ কার্যালয়ে ধরনা দিলেও বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গ্রামগুলোর মানুষ।
এদিকে গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পাগলাপীর পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের মিটার চেকার হেলাল উদ্দিন বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করতে ডাংগীরহাট বাজারে যান গ্রাহকদের কাছে। এ সময় স্থানীয় ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা বিদ্যুতের দাবিতে সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত তাকে ২ ঘণ্টা ডাংগীরহাট বাজরে আটকে রাখেন। ওই কর্মচারী স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে বিষয়টি অবহিত করার পর গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।
পাগলাপীর পল্লী বিদ্যুৎ মিটার চেকার হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কাল বৈশাখীর ঝড়ের কারণে গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। ডাঙ্গীরহাট বাজারে আমাকে আটকে রাখা হলে বিষয়টি আমি অফিসে জানাই। তার দুই ঘণ্টা গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হলে আমাকে এলাকাবাসী অক্ষত ছেড়ে দেয়।’
হড়িয়ারকুটি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হারুন-আর-রশিদ বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি। গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। জনতার কাছ থেকে উদ্ধার করে ওই কর্মীকে অফিসে পাঠানো হয়েছে।
M/M