রাঙামাটি প্রতিনিধি:
অবিরাম বৃষ্টিতে উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই লেকে বাড়ছে পানি। এতে ডুবে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল। ফলে তলিয়ে যাচ্ছে নিচুভূমির ফসলি জমি ও বাড়িঘর। পানিবন্দি হয়ে পড়ছে লেকের পাড়ে বসবাসকারী মানুষ। এসব মানুষ এখন ভোগান্তিতে। এদিকে কাপ্তাই লেকে পানি বাড়ায় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বেড়েছে বলে জানা গেছে।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবদুর রহমান বলেন, লেকে পানি বাড়ায় বর্তমানে কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ নির্ভরশীল পানির ওপর। লেকে প্রয়োজন মতো পানি থাকলে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়। সম্প্রতি অবিরাম বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এতে লেকের উচ্চতা বেড়েছে। বর্তমানে লেকে পানির উচ্চতা ১০৩ ফুট।
তিনি জানান, হ্রদে পানি বাড়ায় কেন্দ্রের ২৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ৫ ইউনিট দিয়েই পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। উৎপাদন করা বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে।
এেিদক লেকে পানি বাড়ায় শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে যাচ্ছে লেকের পাড়ে ও নিচু এলাকার বাড়িঘর। কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী শহর এলাকার রিজার্ভবাজার, পুরানবস্তী, জেলেপাড়া, মুসলিমপাড়া, জুলুক্যাপাহাড়, চেঙ্গিমুখ, ডিসি বাংলো সংলগ্ন এলাকা, এসপি অফিস সংলগ্ন এলাকা, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা, ফিশারিঘাট, শান্তিনগর, গর্জনতলী, পুলিশ লাইন, কেরানিপাহাড়, তবলছড়ি, ওয়াপদা কলোনি, আসামবস্তী, মাঝেরবস্তী, কলেজগেট, রাজবাড়ি, পাবলিক হেলথ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অনেক বাড়িঘর ডুবে যাচ্ছে। এসব মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন ভোগান্তিতে।
এছাড়াও জেলার সদর উপজেলা, বাঘাইছড়ি, বরকল, লংগদু, বিলাইছড়ি, কাউখালী ও নানিয়ারচর উপজেলার বিস্তিীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে নিম্মাঞ্চলে বসবাসকারী লোকজনের বাড়িঘর তলিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর