২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:৪৮

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের শালবনে বেইলি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু

শাহ আলম, রাঙামাটি প্রতিনিধি:
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে ভারি যান চলাচলে রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি শালবনে সড়কের বিধ্বস্ত অংশে একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করেছে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। দ্রুত কাজ শেষ করে সড়কে যান চলাচল সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন, রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সকারী প্রকৌশলী মো. আবু মুছা।
তিনি জানান, ১৩ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের শালবাগানে ১০০ মিটারব্যাপী রাস্তা ধসে ১০০ ফুট খাদে তলিয়ে যায়। সড়কটির মোট ৪৫ স্থানে পাহাড় ধসে বিধ্বস্ত হয়েছে। সড়কের ওপর ধসে পড়ে পাহাড় ধসের মাটি এবং প্রচুর গাছপালা উপড়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক সড়ক সচল করতে সদরের মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্পের সামনে ধসে পড়া মাটি ও গাছপালা অপসারণ করতে গিয়ে দুই কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারিয়েছে ৫ সেনা সদস্য। পাহাড় ধসে সড়ক বিধ্বস্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার সঙ্গে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে টানা ৮দিন মেরামত কাজের পর ২১ জুন হতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে হালকা যান চলাচল শুরু হয়। ভারি যান চলাচল এখনও বন্ধ।
এর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকার প্রধান কার্যালয় হতে নির্বাহী প্রকৌশলী (ব্রিজ ডিজাইন) আবু ইউসুফ ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রওশন আরার নেতৃত্বে একটি বিশেযজ্ঞ টিম ওই স্থানটি পরিদর্শন করে ব্রিজটির ডিজাইনসহ বিস্তারিত স্টিমেট পাঠান। তার অনুযায়ী বেইলি ব্রিজটি স্থায়ীভাবে নির্মিত হচ্ছে।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সকারী প্রকৌশলী মো. আবু মুছা বলেন, সড়কের শালবনে ১০০ মিটারের বিধ্বস্ত রাস্তায় মাটি ও বালির বস্তা ভরাট করে ওই অংশের ওপর দিয়ে হালকা যান চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। ভারি যান চলাচল উপযোগী করতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে সড়কের বিধ্বস্ত অংশের উত্তর পাশে স্থায়ীভাবে একটি বিইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি নির্মিত হচ্ছে সম্পূর্ণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের একক তত্ত্বাবধানে। এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ভারি যান চলাচল খুলে দিতে নিরন্তর চেষ্টা করা হবে। রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ নির্বাহী প্রকৌশলী মো.এমদাদ হোসেন জানান, ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৪ মিটার প্রস্থের নির্মাণাধীন এ বেইলি ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে এ ব্যয় বাড়তে পারে। তিনি আরো বলেন,দ্রুত যান
চলাচলের জন্য বেইলী ব্রীজ নির্মাণ করা হচ্ছে। জনদূর্ভোগ কমাতে বেইলী ব্রীজ নির্মাণ করা
হচ্ছে। ভবিয্যতে পাহাড়ের ভিতর দিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করার প্রস্তাব রয়েছে। তবে
এটি করতে অনেক দেরী হবে। যার জন্য দ্রুত বেইলী ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এ বেইলী ব্রীজ দিয়ে ভারী যারবাহন চলাচল করতে পারবে।
এদিকে পাহাড় ধসে ব্যাপক ক্ষতির কারণে তিন সপ্তাহের পরও রাঙামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলার রাঙামাটি-কাপ্তাই, ঘাগড়া-চন্দ্রঘোনা-বাঙালহালিয়া-বান্দরবান, রাণীরহাট-কাউখালী, বগাছড়ি-নানিয়ারচর-লংগদু এবং বাঙালহালিয়া-রাজস্থলী সড়কে হালকা যান চলাচল করলেও ৫টি সড়কই মারাত্মক ঝুঁকিতে। ফলে বন্ধ রয়েছে সরাসরি ভারি যান চলাচল।

দৈনিক দেশজনতা /এমএম

প্রকাশ :জুলাই ৬, ২০১৭ ৯:০৯ অপরাহ্ণ