১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ইং | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৪:০১

‘আ’লীগ লুটপাটের টাকা সুইস ব্যাংকে পাচার করেছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আওয়ামী লীগ দুর্নীতি আর লুটপাটের টাকা সুইস ব্যাংকে পাচার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোটেক রুহুল কবির রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘আজকে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা রাখার পরিমাণ আরও বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে এক হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ জমা হয়েছে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে। অথচ সারা দুনিয়া থেকে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে অর্থ জমার পরিমাণ কমেছে। ২০১৬ সালে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশ থেকে জমা হওয়া অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ১০ লাখ সুইস ফ্রাঁ, বাংলাদেশি মুদ্রায় রুপান্তর করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৫ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশ থেকে জমার পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৫ কোটি সুইস ফ্রাঁ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আগের বছরের চেয়ে এ জমার পরিমাণ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) গতকাল বৃহস্পতিবার ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড ২০১৬’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি আর লুটপাটের টাকা সুইস ব্যাংকে পাচার করেছে ক্ষমতাসীনরা। গতকাল অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেছেন ব্যাংকিং খাত অত্যন্ত নাজুক। লালবাতি জ্বলার উপক্রম হয়েছে। সে ব্যাংক লুটের টাকাই সুইস ব্যাংকে পাচার হয়েছে বলে সবাই বিশ্বাস করে। টাকা পাচারের পিছনে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের লোকেরা জড়িত। তা না হলে অর্থমন্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অসহায়ের ভুমিকায় অবতীর্ণ হতেন না।

তিনি আরও বলেন, ‘সত্যিকারার্থে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। এছাড়া সুশাসনের অভাবে বিনিয়োগ পরিবেশের ঘাটতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে দেশ থেকে বিদেশে অর্থ নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা আরও বাড়ছে।’

আওয়ামী লীগ দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘লুটপাটের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সমস্ত আর্থিকখাত ধ্বংস করে দিয়েছে। যা গতকাল অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে কিছুটা ফুটে ওঠেছে। তাছাড়া বেসিক ব্যাংক, হলমার্ক, শেয়ারবাজার, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও রুপালি ব্যাংক কেলেঙ্কারির মতো বড় বড় ঘটনা ঘটেছে। অথচ একটিরও বিচার হয়নি বা সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। অবৈধ ভোটারবিহীন সরকার কেলেঙ্কারি ছাড়া জনগণকে আর কিছুই উপহার দিতে পারেনি।’

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

 

প্রকাশ :জুন ৩০, ২০১৭ ৫:৩১ অপরাহ্ণ