২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:৩৬

এখনও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাঙামাটি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

টানা বর্ষণে রাঙামাটিতে ভূমিধসে নিমেষেই চুরমার করে দিয়েছে পাহাড়ে বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ি। ভূমিধসে বহু হতাহতের পাশাপাশি জীবনযাত্রা এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়ে। খাদ্যপণ্য ও জ্বানালি তেলের বাজারে চরম সঙ্কট দেখা দেয়। এতে জনজীবন আরো দুর্বিসহ হয়ে ওঠে।

প্রশাসনের তৎপরতায় ধীরে ধীরে সে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ৩০ হাজার লিটার অকটেন সরবরাহ করা হয়েছে। নৌপথে বিনামূল্যে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে পণ্য পরিবহনে। তবে এখনও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে নিহত ৫ সেনা সদস্যেদের শোক বুকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনীও।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু মুছা বলেন, ‘পাহাড়ধসে সাপছড়ি এলাকায় ১৫০ ফুট রাস্তা ধসে গেছে। এ ১৫০ ফুট রাস্তা সম্পূর্ণ পুনর্নির্মাণ করতে হবে। তবে হালকা যানবাহন দুই-একদিনের মধ্যেই চলাচল করতে পারবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আবহাওয়া ঠিক থাকলে ১০-১৫ দিনের মধ্যে রাস্তা ১৫০ মিটার পুনর্নির্মাণ করা যাবে।’

জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান জানান, ‘বাজারে এখন খাদ্যের কোনো সঙ্কট নেই। যোগাযোগ সমস্যা সমাধানে কাপ্তাই চ্যানেলে লঞ্চের ব্যবস্থা চালু করার পর পর্যাপ্ত পণ্য আসছে নৌপথ। পণ্য পরিবহনে বিনামূল্যে লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির অভিযোগে জেলা শহরের তিনটি বাজারেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মনিটরিং টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।

লঞ্চযাত্রী শফিক ইসলাম বলেন, ‘আমাকে জরুরি ঢাকায় যেতে হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় কাপ্তাই দিয়ে নৌপথে গিয়ে বাস ধরতে হবে। সড়ক যোগাযোগ বন্ধের কারণে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই।’

এদিকে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে শহরে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ২৬ শতাধিক মানুষ। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সেনাবাহিনী, রেডক্রিসেন্ট ও সামাজিক সংগঠন প্রিয় রাঙামাটি সহায়তার কাজ করছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরে হালকা বৃষ্টি হচ্ছিলো।

১২ জুন সকাল থেকে টানা বর্ষণের পর ১৩ জুন রাতে চট্টগ্রামসহ পার্বত্য এলাকার পাঁচ জেলায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড় ধসে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দারবান ও রাঙামাটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬১ জন। এরমধ্যে রাঙামাটিতে ৫ সেনা সদস্যসহ ১১৫ জন মারা গেছেন।

দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ

প্রকাশ :জুন ১৯, ২০১৭ ২:১৫ অপরাহ্ণ