২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:৪৯
মেয়ের লাশের সামনে কাঁদছেন মা।

বিয়ের ৩য় দিনে নববধূর লাশ শ্বশুরবাড়ির পুকুরে

অপরাধ ডেস্ক:
ঢাকার দোহারে মেহেদীর রং শুকাতে না শুকাতেই ৩ দিনের মধ্যে শিখা আক্তার (১৮) নামে নববধুর লাশ উদ্ধার করেছে দোহার থানা পুলিশ। ৩দিন আগে গত শনিবার আনুষ্ঠানিক বিয়ে হয় শিখার। নিহত শিখা দোহার ঘাটা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী সিরাজ মিয়ার কন্যা।

সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দোহার উপজেলার ব্যাঙ্গারচর চৌধুরীপাড়া সংলগ্ন নববধুর শ্বশুর বাড়ি মিয়া বাড়ির পুকুরে কচুরীপানার মধ্যে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত নব গৃহবধূ শিখার শ্বাশুড়ী, ভাসুর, দুই জা’কে আটক করেন। নিহত শিখার স্বামী রুহুল আমিন পলাতক রয়েছেন। নববধু হত্যাকারী স্বামী রুহুল আমীনের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে মিয়া বাড়ীর পুকুরে কচুরিপানার মধ্যে শিখাকে ভাসমান দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে এবং মৃত দেহ উদ্ধারের সময় তার গলায় ওড়না দিয়ে কলস বাধা ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে লাশ লুকিয়ে রাখার জন্য গলায় কলস বেঁধে দেওয়া হয়েছিলো।

নিহতের মা রুনু আক্তার জানান, তার মেয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গত শনিবার তার মেয়ে শিখাকে ব্যাঙ্গারচর বিলের পাড় চৌধূরী পাড়া গ্রামে স্থানীয় রুহুল আমিনের কাছে আনুষ্ঠানিক বিয়ে দেন। মেয়ের তুলে দেয়ার সময় অতিরিক্ত সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য গহনার পাশাপাশি ইমিনেশনের অলংকার পড়িয়ে সাজিয়ে দেয়া হয়। বর রুহুল আমিনের পরিবার ইমিনেশনের বিষয়টি ভালভাবে মেনে নেয়নি। পরিবর্তিতে রাতেই স্বর্ণালংকার ও ইমিনেশনের অলংকার খুলে নিয়ে শিখার মা-বাবাকে স্বর্ণালংকার দেয়ার চাপ প্রয়োগ করেন। ক্ষোভে বর রুহুল আমিন বাসর রাতে মারধর করে বাসর ঘর থেকে বেড়িয়ে গিয়ে বিচ্ছিন্ন থাকে ।

দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনা শুনে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

প্রকাশ :আগস্ট ৭, ২০১৮ ১:১৪ অপরাহ্ণ