নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবান ও রাজশাহীতে আরও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহ মাখদুম ম্যানেজমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়। এ নিয়ে বেসরকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০১ এ। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি সূত্র জানায়, নতুন করে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়টি বান্দরবান সদরে স্থাপন করা হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছেন বান্দরবানের এমপি ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তবে তার সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী রয়েছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, শাহ মাখদুম ম্যানেজমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজশাহী জেলা সদরের স্থাপন করা হবে। এটির উদ্যোক্তা হিসেবে স্থানীয় ব্যবসায়ী এ বি এম মুকসুল হকের নাম রয়েছে। তবে তার সঙ্গে রাজশাহী জেলার একজন এমপির পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ইউজিসি জানিয়েছে- এ নিয়ে চলতি মাসে মোট চারটি বেসরকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া হলো। অন্য দুটি হচ্ছে ‘খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ ও ‘আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’। বিশ্ববিদ্যালয় দুটির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে ১৪০ কেডিএ, খান বাহাদুর আহছানউল্লা সড়ক, ছোট বয়রা, সোনাডাঙা, খুলনা এবং ২১৬/১ তালাইমারি, পো. কাজলা, রাজশাহী-৬২০৫।
বিশ্ববিদ্যালয় দুটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা আহছানিয়া মিশনের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল আলম। এর আগে তিনি ‘আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র অনুমোদন নিয়ে পরিচালনা করছেন। মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর ৩৬ ধারা অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতিতে একই আইনের ৭ এর ১ ও ২ ধারা অনুযায়ী ২৩টি শর্তে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন, কমপক্ষে তিনটি অনুষদ ও ছয়টি বিভাগ, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, শিক্ষার্থীদের জন্য কমন রুম, সেমিনার কক্ষসহ পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকতে হবে। পূর্বানুমোদন ছাড়া বিভাগ খোলা যাবে না। বিভাগে শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্টসংখ্যক পূর্ণকালীন শিক্ষক থাকতে হবে। আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) পূর্ব অনুমোদন ছাড়া বিদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা যাবে না। আরোপিত শর্তগুলোর ওপর ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দিতে হবে।
সম্প্রতি সরকারপ্রধান বিশ্ববিদ্যালয় দুটি স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে প্রধানমন্ত্রীর কর্যালয় থেকে গত ২৯ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে।
জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, সরকারের ইচ্ছায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসি সরেজমিন পরির্দশন করে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। তার ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক অনুমোদ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর