২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:২৭

শাকিব-অপুর চূড়ান্ত বিচ্ছেদ ঘটছে আজ

বিনোদন ডেস্ক:

গত ২২ ফেব্রুয়ারি সুপারস্টার শাকিব খান কর্তৃক স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে তালাকের নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিন পূর্ণ হয়। আইনগতভাবে,  ওইদিনই তারকা এ জুটির তালাক কার্যকর হয়ে গেছে। ওই দিনের পর থেকে তারা আর স্বামী-স্ত্রী নন। তার পরও আলোচিত দুই তারকাকে নিয়ে ১২ মার্চ তৃতীয় ও শেষ শুনানীর তারিখ জানিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন। আজ সেই দিন। শাকিব-অপুর একসঙ্গে সংসার করা না করা নিয়ে আজই চূড়ান্ত ফয়সালা হবে।

যদিও শাকিব খান আগেই জানিয়ে দিয়েছেন এ সালিশি বৈঠকেও তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এমনকী, অপুর সঙ্গে সংসার করা একেবারেই অসম্ভব বলেও কদিন আগে সাফ জানিয়ে দেন। এর আগের দুটি সালিশি বৈঠকেও শাকিব উপস্থিত ছিলেন না। দিনক্ষণ জানা সত্ত্বেও দুই বারই শুটিংয়ের কাজে দেশের বাইরে ছিলেন দেশসেরা এই তারকা।

অন্যদিকে, দুটি সালিশি বৈঠকের প্রথমটিতে উপস্থিত ছিলেন শাকিবের স্ত্রী অপু বিশ্বাস। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সালিশি বৈঠকের সময় তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেন, শাকিবের দেয়া তালাকের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিয়েছেন। কাজেই, দ্বিতীয় সালিশি বৈঠকের কোনো প্রযোজন নেই। তার পরও তারকা এ জুটির সংসার টেকাতে শেষ চেষ্টা হিসেবে তৃতীয় ও শেষ শুনানীর দিন ঠিক করে ডিএনসিসি। তবে তৃতীয় এ সালিশি বৈঠকের প্রতি শাকিব বা অপু কারোই কোনো আগ্রহ নেই বলে খবর।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ নভেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন শাকিব খান।  ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই জুটি ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেছিলেন। দীর্ঘ নয় বছর পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে জন্ম হয় তাদের একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের। গোপন রাখা হয় এই খবরটিও। অবশেষে গত বছরের ১০ এপ্রিল সাত মাসের ছেলেকে নিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের লাইভ অনুষ্ঠানে হাজির হন অপু বিশ্বাস। প্রকাশ করেন সবকিছু।

এ ঘটনায় শাকিব খান প্রথমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালেও পরে সবকিছু স্বীকার করেন এবং অপুর সঙ্গে সুখে সংসার করবেন বলে জানান। কিন্তু সেই সুখের সংসার আর পাতা হয়নি। উপরে উপরে সবকিছু মেনে নিলেও ভেতরে যে একটা ক্ষোভ ছিল সেটা অবশেষে প্রকাশ করে দেন নায়ক। ‘ছেলে জয়কে তালাবদ্ধ করে অপু বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কলকাতায় ঘুরতে গেছেন’- এমন অভিযোগ এনে গত ২২ নভেম্বর তালাকের নোটিশ পাঠান শাকিব।

যদিও পরে অপু ফিরে এসে শাকিবের সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যে, তিনি কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন এবং ছেলে জয়কে শাকিবের কোনো আত্মীয়ের কাছে রেখে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তাই কাজের মেয়ে শেলীর কাছে রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেসব কিছুই কানে তোলেননি শাকিব খান। নড়েননি নিজের সিদ্ধান্ত থেকেও। তার পরও দেখা যাক আজ কী হয়। সফল হয় কিনা ডিএনসিসির শেষ চেষ্টা। যদিও সে সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

 

প্রকাশ :মার্চ ১২, ২০১৮ ১১:১১ পূর্বাহ্ণ