এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরে পৃথক ৩টি বজ্রপাতে এক শিশু ও দু’মহিলাসহ ৮জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৫জন। দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পূর্ব রাজরামপুর এলাকায় বজ্রপাতে শনিবার দুপুর দেড়’টায় ঘটনাস্থলে ৪ জন নিহত হয়। একই ঘটনায় আহত হয় আরো ৭ জন। দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরো দু’জন । এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন,বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ সরকার। তিনি জানান, ঘটনার সময় সামান্য বৃষ্টি ঝরছিলো আকাশ থেকে। আকাশ থেকে বজ্রপাতের শংকায় কয়েকজন ওই এলাকার একটি ছনের ঘরে আশ্রয় নেয়। এ সময় ঘটে বজ্রপাত। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন,বিরল উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের মৃত হরিপদ রায়ের ছেলে নব কিশোর কুশো রায়(১৯) একই গ্রামের প্রদীপ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী বনিতা রানী রায় (৩০), সদর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মেছের আলী (৩৬) ও একই গ্রামেরর মৃত মোস্তাক আলীর ছেলে শুকুর উদ্দিন মিয়া (৪০)। আহত হয় আরো ৭ জন। আহতদের দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরো দু’জন । আহতরা হলেন- মুক্তি রাণী (৩২),সুকুমার (৩৩), মল্লিক (২৩), রফিকুল ইসলাম (৪৫), নলিতা (৩৫)।
বিরল উপজেলার মখলেসপুর জয়হার গ্রামে আজ দুপুরে বজ্রপাতে হেলালের ছেলে শাকিবুল হাসান হৃদয় (১২) নামে এক শিশু আহত হয়। দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা কলে চিকিৎসরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাধারামপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মুকুল চন্দ্র রায় জানান, মৃতরা এ সময় আমন ধানের ক্ষেতে কাজকরছিলেন। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সময় একটি ছনের ঘরে তারা আশ্রয় নেন। তখন বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই চারজন মারা যান। আহত হন সাতজন।
অপরদিকে শনিবার ভোরে চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা চকরামপুর গ্রামে হালিমা খাতুন (৩০) এক গৃহবধু বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। ওসি হারেসুল জানায়, ভোরে বৃষ্টির সময় বাড়ির আঙিনায় রান্নার চুলা ঢাকার জন্য ঘর থেকে বের হন হালিমা। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ